শিলং : এক পাহাড়ী শহর ভ্রমণ
বরুন বিশ্বাস
উত্তর পূর্ব ভারতের একটা সুন্দর রাজ্য মেঘালয়। তার রাজধানী শহর হল শিলং। ভ্রমণের জন্য অধিকাংশ লোকজন মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি এবং ডাউকি বেছে নেন। তবে সেখানে যাওয়ার জন্য শিলং হয়ে যেতে হয়। আর তাই সেই সুযোগে একদিন শিলং শহরটাও দেখে নেওয়া যায়। যেহেতু রাজধানী শহর তাই রাজ্যের বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ অফিস আদালত এখানেই অবস্থিত। তবে তার মধ্যেও কিছু পার্ক, মিউজিয়াম, ধর্মীয় স্থান রয়েছে যেগুলো ঘুরে দেখা যায়।
শিলং শহরটি পূর্ব খাসি হিলস জেলার অন্তর্গত। খাসি জনজাতির আধিক্যের জন্য এই জেলার নামকরণ এরকম হয়েছে। তবে আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এখানে প্রচুর বাংলাভাষী মানুষের বসবাস রয়েছে।
কিভাবে যাবেন : কলকাতা থেকে গৌহাটিগামী যে কোনো ট্রেনে গৌহাটি নেমে ট্যাক্সিতে করে শিলং পৌঁছানো যায়। তবে শিয়ালদহ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এবং হাওড়া থেকে সরাইঘাট এক্সপ্রেস প্রতিদিন ছাড়ে। কলকাতা শিলচর স্পেশাল এক্সপ্রেস প্রতি শুক্রবার ছাড়ে। সোম আর শুক্রবার বাদে কামরূপ এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে ছাড়ে। আর কলকাতা আগরতলা স্পেশাল এক্সপ্রেস শুধুমাত্র রবিবার দিন থাকে। তবে এখন ইন্টারনেটের যুগে আইআরসিটিসি এর ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজেই দেখে নেওয়া যায় কবে কোন ট্রেন ছাড়ে।
এছাড়াও বিমানে শিলং আসতে চাইলে কলকাতার দমদম এয়ারপোর্ট থেকে গৌহাটি অথবা শিলং যেকোনো জায়গার টিকিট বুকিং করা যায়। গৌহাটি এয়ারপোর্ট নামলে সেখান থেকে ট্যাক্সি করে ১২০ কিলোমিটার পথ যেতে হবে। তাতে মোটামুটি তিন থেকে সাড়ে তিন
ঘন্টা সময় লাগে। অন্যদিকে শিলং এয়ারপোর্টে নামলে ৩০ কিলোমিটার দূরে শিলং শহর পৌঁছাতে ঘন্টাখানেক সময় লাগবে।
তবে কেউ যদি সরাসরি শিলং এয়ারপোর্টে আসতে চায় তাহলে তাকে রবিবার বাদে অন্যদিনের ফ্লাইট ধরতে হবে। কারণ শিলং এয়ারপোর্টে রবিবার দিন ফ্লাইট থাকে না।
যাতায়াত খরচ: ট্রেনের ভাড়া দিনের সঙ্গে পরিবর্তিত না হলেও ফ্লাইটের ভাড়া পরিবর্তিত হয়। তাই বিমানে এলে আগে আগে টিকিট কাটলে কম দামে টিকিট পাওয়া যায়। মোটামুটি ৩৫০০-৪০০০ এর মধ্যে।
আর ট্রেনের টিকিট স্লিপারের ক্ষেত্রে ৫০০-৬০০, থ্রি টায়ার এসির ক্ষেত্রে ১৩০০-১৪০০, টু টায়ার এসির ক্ষেত্রে প্রায় ১৯০০ টাকা।
গৌহাটি স্টেশন থেকে শিলং ট্যাক্সিতে ২০০০ টাকা লাগে। সর্বোচ্চ চারজন যাওয়া যায়। সেই হিসাবে শেয়ারিং হলে জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে পড়ে। অন্যদিকে গৌহাটি এয়ারপোর্ট থেকে চারজনের শেয়ারিং ট্যাক্সিতে জনপ্রতি ১০০০ টাকা করে পড়ে। তবে প্রিপেইড ট্যাক্সিও পাওয়া যায় অথবা উবেরও বুক করা যায়। আর শিলং এয়ারপোর্ট থেকে গেলে ট্যাক্সিতে ১৫০০ টাকা লাগে। তিন চারজন যাত্রী বেশ ভালোভাবে যাওয়া যায়। ট্যাক্সিতে পুলিশ বাজার যাওয়া যায়।
থাকার জায়গা : শিলং শহরের মূল কেন্দ্র হলো এখানকার পুলিশ বাজার। যারা মেঘালয় ঘুরতে আসেন বেশিরভাগই এর আশেপাশের হোটেলগুলো বেছে নেন থাকার জন্য। এখানে অনেক হোটেল ছড়িয়ে রয়েছে। দিন প্রতি ১২০০ থেকে ২০০০ এর মধ্যেই হোটেল পাওয়া যাবে। তবে পুলিশ বাজার থেকে একটু আশেপাশে গেলে এখান থেকে কম পয়সার হোটেল পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে লাবান,
লাইমুখরা বা ধানক্ষেতিতেও হোটেল পাওয়া যায়।
এ তো গেল যাওয়া আর থাকা। এবার দেখা যাক শিলং শহরে ঘোরার মতো কি কি জায়গা রয়েছে যা একদিনে দেখে নেওয়া যায়। শহরের মধ্যেই কাছাকাছি এসব জায়গাগুলো ট্যাক্সি ভাড়া করে একসঙ্গে দেখা যায়। দুয়েকটি স্পট একটু দূরে হলেও সেটা একইসঙ্গে ঘুরে নেওয়া যাবে।
পুলিশ বাজার : প্রথমেই আসি পুলিশ বাজারের কথায়। শিলংয়ের প্রাণকেন্দ্র বলা যায় একে। স্থানীয় খাসি ভাষায় জায়গাটার নাম খিন্দায় লাদ। আমাদের মতো অন্য ভাষাভাষীরা এটা বেশ বড় একটা বাজার। বেশিরভাগ হোটেল, দোকানপাট বা শপিংমল এখানেই রয়েছে। আর এখানে থাকার সুবাদে ভ্রমণকারীরা বিকালে বা সন্ধ্যেবেলায় বাজারটা ঘুরে দেখতে পারেন। বেশ বড়ো এলাকা জুড়ে মার্কেট। তবে রবিবার সব বড়ো বড়ো দোকান বন্ধ থাকে। সেদিন আর
ঘুরে তেমন কিছু দেখা যায় না।
বড় বাজার: শিলংয়ের সবচেয়ে বড়ো মার্কেট হল বড়ো বাজার বা বড়া বাজার। পুলিশ বাজার থেকে কিছুটা এগিয়ে গেলেই এই বাজার। প্রচুর লোকসমাগম হয় সারাদিন। আশেপাশের বাজারগুলোর দোকানদাররা দোকানের মালপত্র এখান থেকে পাইকারিতে কেনাকাটা করে। তবে অন্যান্য লোকজনও কেনাকাটার জন্য এখানে আসে। খাসি ভাষায় এই বাজারের নাম লেউদুহ। অর্থাৎ জনসাধারণের জন্য সবচেয়ে বড়ো বাজার।
ওয়ার্ডস লেক: পুলিশ বাজারের কাছেই অবস্থিত একটা মনোরম জায়গা হল ওয়ার্ডস লেক। আগের চেয়ে এটাকে বেশ ঢেলে সাজানো হয়েছে। মেন রাস্তার পাশেই লেকটাতে প্রবেশের গেট রয়েছে। এটা কৃত্রিমভাবে তৈরি একটা লেক। ভিতরে প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা থেকে শুরু। তবে ভিডিও বা শ্যুটিং করার জন্য প্রবেশমূল্য আলাদা। এই কৃত্রিম লেকটার
পরিকল্পনা করেছিলেন আসামের চিফ কমিশনার স্যার উইলিয়াম ওয়ার্ড। তার নামানুসারে এটাকে ওয়ার্ডস লেক নাম দেওয়া হয়েছে। তবে এর নকশা করেছিলেন থমাস পোলক। তাই এর স্থানীয় নাম পোলক লেক। লেকের চারপাশে বিভিন্ন ফুলের গাছ লাগানো রয়েছে। বসার জন্য সব জায়গাতে রয়েছে বেঞ্চ। লেকের মাঝামাঝি একটা কাঠের ব্রিজ থাকলেও এখন তাতে লোকজনের ওঠা নিষেধ। বর্তমানে নতুন করে একটা বড়ো স্টেজ আর স্থানীয় জিনিসপত্র বিক্রির জন্য স্টল বানানো হয়েছে। তবে সেগুলো পেতে গেলে বিকালের দিকে যেতে হবে। বাচ্চাদের খেলা আর সময় কাটানোর জন্য রয়েছে পার্ক। শেষ প্রান্তে রয়েছে বোটানিক্যাল গার্ডেন। এখন নতুন করে একটা ক্যাফেও খোলা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। লেকে বোটিং এর ব্যবস্থাও রয়েছে। স্থানীয় খাসি পুরুষ ও মহিলাদের ট্র্যাডিশনাল পোশাক ভাড়া দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। সেগুলো পরে অনেকে ছবি তোলে। পরিবার নিয়ে সময় কাটানোর একটা ভালো
জায়গা এই ওয়ার্ড লেক।
লেডি হায়দারী পার্ক: এই পার্কটি শিলং সিভিল হসপিটালের কাছে অবস্থিত। পুলিশ বাজার যাওয়ার আগে এখানে নেমে পার্কটি ঘুরে দেখে নেওয়া যায়। তবে সেক্ষেত্রে বেশ একটু সময় দিতে হবে। এখানকার প্রবেশ মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জনপ্রতি ৫০ টাকা। প্রবেশের পর যে জায়গাটি সর্বপ্রথম দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেটা হল এখানকার ছোট চিড়িয়াখানা। সেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী রাখা রয়েছে। এছাডাও একটা ঘেরা ফাঁকা মাঠ এখানে রয়েছে যেখানে কয়েকটা হরিণ রাখা আছে। দূরে দাঁড়িয়ে বেশ ভালোভাবে দর্শনার্থীরা সেই হরিণগুলো দেখতে পারে। এরপর সার বেঁধে পরপর বিভিন্ন খাঁচায় ভালুক, বানর, বিভিন্ন পাখি, শেয়াল রাখা রয়েছে। আগে আরও প্রাণী রাখা ছিল সেগুলো আর এখন এখানে নেই।
পার্কের মধ্যেই রয়েছে একটি এক কক্ষের ছোটো জাদুঘর। ভিতরে সবকিছু দেখতে খুব
একটা সময় লাগে না। মূলত পশু পাখি সংক্রান্ত জাদুঘর এটা।
শিশুদের বিনোদন আর সময় কাটানোর জন্য একটা অংশে তৈরী করা হয়েছে শিশু উদ্যান। এছাড়া খোলা মাঠের মধ্যে বসে বেশ সময় কাটানো যায়।
লাইমুখরা চার্চ বা গির্জা : এটা হল শিলং তথা পুরো মেঘালয়ের সবচেয়ে বড় গির্জা। গির্জাটির নাম ক্যাথিড্রাল অফ মেরি হেল্প অফ ক্রিশ্চিয়ান। এর নামকরণ হয়েছে যীশু খ্রীষ্টের মা মেরির নামে। এটি মেঘালয়ের সবচেয়ে পুরোনো গির্জাও বটে। গির্জাটি ধানখেতি নামক জায়গায় অবস্থিত। এর কিছুটা দূরেই ডন বসকো স্কয়ার। ১৯১৩ সাল নাগাদ এটি তৈরি হয়েছিল। তখন এটা কাঠের দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে আগুনে এটা পুড়ে যাওয়ায় 1936 সালে নতুন রূপে তৈরি করা হয়। বড় গির্জাটি রাস্তার লেভেল থেকে বেশ অনেকটাই উপরের দিকে অবস্থিত। সিঁড়ি দিয়ে বেশ
কিছুটা উপরে উঠতে হয়। নিচে আরেকটি ছোট গির্জা রয়েছে। অন্য ধর্মালম্বীরা বাইরে অবশ্যই ঘুরতে পারেন। কিন্তু প্রধান গির্জার ভিতরে প্রবেশ নিষেধ। প্রতি রবিবার এখানে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা প্রার্থনার জন্য মিলিত হয়। বাইরের অনেক পর্যটকেরাও এখানে ঘুরতে আসেন। পুরো শিলং শহরে এছাড়াও অনেক ছোট ছোট গির্জা দেখা যায়।
শিখ মন্দির : শিলং রাজভবনের কাছেই রয়েছে একটা শিখ মন্দির। এখানে সামান্য সময়ের জন্য ঘোরা যায়। সারাদিন খুব একটা ভিড় দেখা যায় না। তবে শিখ ধর্মের অনুষ্ঠানগুলোতে এটা বেশ সেজে ওঠে।
ডন বসকো মিউজিয়াম : এই জাদুঘরটি পুলিশ বাজার থেকে মোটামুটি সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে মাওলাই নামক জায়গায় অবস্থিত। রবিবার এবং ছুটির দিন বাদে প্রত্যেকদিনই খোলা থাকে সকাল সাড়ে নটা থেকে সাড়ে চারটে পর্যন্ত। প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ভারতীয়
হলে ১০০ টাকা এবং বিদেশীদের জন্য ২০০ টাকা। জাদুঘরটি স্যাক্রড হার্ট চার্চের এলাকার মধ্যে অবস্থিত। এখানে ঘুরতে এলে মেঘালয়ের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা যায়। ফটো গ্যালারি, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের গ্যালারি ছাড়াও অনেক কিছুর গ্যালারি এখানে রয়েছে। এছাড়াও এখানে রয়েছে স্কাইওয়াকের ব্যবস্থা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি: সিভিল হসপিটাল বা লেডি হায়দারি পার্কের কাছেই রিলবং এ অবস্থিত। জায়গাটা বেশ নিরিবিলি। ছোট এলাকাটা ঘুরতে খুব একটা বেশি সময় লাগে না।
মদিনা মসজিদ : সিভিল হসপিটাল থেকে এক কিলোমিটার দূরে লাবানে এটি অবস্থিত। এটা উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম বড় এবং মেঘালয়ের সবচেয়ে বড় মসজিদ। মসজিদটি চারতলা বিশিষ্ট এবং ১২১ ফুট উচ্চতা ও ৬১ ফুট চওড়া। আরেকটি বিষয় হলো এটা
ভারতের একমাত্র কাঁচের মসজিদ। এটি দিনরাত ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকে। তবে সন্ধ্যের দিকে গেলে আলোকসজ্জাটাও দেখে নেওয়া যায়।
রাইনো হেরিটেজ মিউজিয়াম : শিলং শহরে অবস্থিত আরেকটি ছোট মিউজিয়াম। এটা আসলে যুদ্ধ সংক্রান্ত জাদুঘর। মিলিটারি হসপিটালের কাছে একেবারে রাস্তার পাশেই অবস্থিত। মিউজিয়ামের সামনেই একটি গন্ডারের মূর্তি রয়েছে। মূর্তিটা দেখেই চিনে নেওয়া যায় এটাই রাইনো হেরিটেজ মিউজিয়াম। প্রবেশের সময় সকাল ৯ টা থেকে ১টা এবং মাঝে বিরতির পর ৩টা থেকে ৫টা। শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার বন্ধ। জাদুঘরটি ছোটো হওয়ায় খুব বেশি সময় লাগে না ঘুরে নিতে।
ক্যাপ্টেন উইলিয়ামসন সাংমা মিউজিয়াম : সিভিল হসপিটালের একদম কাছেই অবস্থিত এই জাদুঘরটি। আবার আই জি পি পয়েন্টে নামলেও এর প্রধান গেটটা পাওয়া যাবে।
শনিবার ও রবিবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে মেঘালয়ের বিভিন্ন জাতি বা উপজাতিদের সংস্কৃতি সংক্রান্ত বিষয় প্রদর্শন করা হয়। এখানে ঘুরতেও খুব বেশি সময় লাগে না। জাদুঘরটি স্টেট লাইব্রেরি এলাকার মধ্যেই অবস্থিত।
এলিফ্যান্ট ফলস: শিলং শহরের একদম কাছাকাছি অবস্থিত সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা হল এলিফ্যান্ট ফলস। প্রধান শহর থেকে মোটামুটি ১০ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থিত। পুরো শহর ঘুরে দেখার মধ্যে এটা দেখা হয়ে যায়। ট্যাক্সি ভাড়া করার সময় এই স্পটের কথা বলে দিলেই হয়ে যাবে। সকাল ৯টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। ফলসের নাম শুনেই বোঝা যায় এর সঙ্গে হাতির কিছু একটা সম্পর্ক আছে। আসলে এটা একটা ত্রিস্তরীও জলপ্রপাত। আগে এর শেষ অংশটা দেখতে হাতির মতো আকৃতির ছিল। তাই এরকম নাম দেওয়া হয়েছিল। তবে ১৮৯৭
সালের ভূমিকম্পে এটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর সেকারণে নাম থাকলেও হাতির মতো অংশ এখন আর বোঝা বা দেখা যায় না। এন্ট্রি ফি জন প্রতি ২০ টাকা। উপর থেকে হেঁটে নীচে পর্যন্ত নেমে দেখতে হবে। তবে বর্ষাকালে জলের পরিমাণ বেশি থাকলেও অন্যসময় খুব কম থাকে।
তবে এর পাশে মাটিলাং পার্ক রয়েছে। সেখানে টিকিট কেটে ঢুকলে এই জলপ্রপাতের পতনের অংশটা দেখা যায়। সেই সঙ্গে পার্কটাও ঘুরে নেওয়া যায়। পার্কটিতে প্রবেশ মূল্য জন প্রতি ৫০ টাকা আর গাড়ির জন্য ৩০ টাকা।
এয়ারফোর্স মিউজিয়াম : এলিফ্যান্ট ফলস দেখতে গেলে তার কাছেই এই জাদুঘর দেখে আসা যায়। খোলা থাকে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ৫টা। জাদুঘরের নাম থেকেই বোঝা যায় এটা এয়ারফোর্স সংক্রান্ত জাদুঘর। এখানে ঐতিহাসিক সাধারণত যুদ্ধ সংক্রান্ত সব জিনিসপত্র প্রদর্শিত হয়। এখানে গেলে
নিশ্চিতভাবে এখানকার আগেকার যুদ্ধ এবং তাতে ব্যবহৃত যুদ্ধাস্ত্র, বিমান এসব সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যাবে।
যারা মেঘালয় ভ্রমণের জন্য পরিকল্পনা করছেন আশা করি এই তথ্যগুলো কাজে লাগবে।