রবীন বসু
রবীন বসু
নতুন দিন
এই তো ছুঁয়েছে হাত অজানা ভবিষ্যতে
আগামীর দিনগুলো কতটা কেমন হবে
তা নিয়ে হিসাব-নিকাশ;
যে অন্ধ তারা খোঁজে রাতের আকাশে
আমি তাকে স্পর্শ করে বলে দিতে পারি
সমূহ বিষাদ তুমি কার কাছে গচ্ছিত রেখেছ।
কার দ্বারে মাধুকরী পাওয়া যাবে দিনান্তের শেষে।
প্রত্যাশা-উন্মুখ এই সকালের রোদ
নতুন চিকন ডানায় ভরে রাখে অল্প অসুখ ;
অসুখের গভীরে বসে থাকে যে আরোগ্য
তুমি তার নাগরিকত্বের প্রমাণ চেয়ো না।
দিকভোলা হলে লাইফবোট নিজস্ব গন্তব্য ফেলে
যে কোনো দেশেই চলে যেতে পারে;
ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়া জল চলে যায় অন্য দেশে।
অনন্ত আকুতি,আর্তি নিয়ে তুমি কি ঘুরেছ পথে?
দেশ থেকে দেশান্তরে একা? ছিন্নমূল হাওয়া
আমাদের ভবিতব্য লিখে রাখে দেবনাগরী অক্ষরে
বর্ণের গন্ধ জাগে, জাগে ভ্রমণের ঘোড়া
অশ্বমেধ যজ্ঞ নয়, তবু যেন দাপটের নেশায়
নিজেকে নির্মাণ করে যুদ্ধের ধোঁয়ায়!
সভ্যতার খড়কুটো ছুঁড়ে ফ্যালে বিলাসি ইচ্ছায়।
হাওয়ামহলের ওপারে বসে ফিসফিস কথা হয়—
নিজেদের কাঁদনগীত নিজেরাই গায়!
তবু, বিমূঢ় বিস্ময় নিয়ে জেগে উঠছে নতুন দিন!