একটি রমণীয় ভিলানেল

 লিপিকর



হলুদ বিষাদ মেখে, টেব্লল্যাম্প সব দেখে, ব্রীড়মানা

স্তিমিত আঁধারি আলোয়, একীভূত মন্দ-ভালোয়,  শোণিতে মেশে স্বেদ 

বিভাবরী হলে ভোর, ছিঁড়ে যাবে সব ডোর, কাল তো জীবন অজানা।


জিভেতে জিভ ঠেলে, বাগেতে শিকার এলে, গ্রীবায় উদ্গ্রীব শ্বাস টানা

হলে ঐটুকুই খুঁতহীন, চেতনা হবেই রঙিন, চুম্বন-চুম্বকে নেই ছেদ

হলুদ বিষাদ মেখে, টেব্লল্যাম্প সব দেখে, ব্রীড়মানা।


বড় চেনা এ গ্রহণ, পরিচিত আরোহণ, অনুভুতি উপচীয়মানা

ওষ্ঠ -কন্ঠ-স্তন-নাভি-যোনি, ভোলায় দিনগত ভুজঙ্গ-ফণী, নৈমিত্তিকের ক্লেদ

বিভাবরী হলে ভোর, ছিঁড়ে যাবে সব ডোর, কাল তো জীবন অজানা।


আকাশপাতাল আদর, উথালপাতাল চাদর, ভোলে  ক্ষণগুলি আগেই গোণা 

নীলছবির বিভঙ্গ অনুকরণে অবশাঙ্গ, বাদ সাধে মধ্যবয়সের মেদ

হলুদ বিষাদ মেখে, টেব্লল্যাম্প সব দেখে, ব্রীড়মানা।



অপচয় এখন, কথাতে বওয়া ক্ষণ, আঙুলের সর্বত্রগমনের আছে পরোয়ানা

           “বড় ঝটিতিই শেষ হল” আধপ্রহর বিশ্রামেও মিশে যায় খেদ 

বিভাবরী হলে ভোর, ছিঁড়ে যাবে সব ডোর, কাল তো জীবন অজানা।



পোশাক পাপোষে পড়ে, শরীর আঁকড়ে ধরে, মুছে যায় সব ভেদ

দিনের কালিমা পেরিয়ে, গহনেই আসে বেরিয়ে, বেঁচে নেওয়াটুকুর জেদ

               হলুদ বিষাদ মেখে, টেব্লল্যাম্প সব দেখে, ব্রীড়মানা

বিভাবরী হলে ভোর, ছিঁড়ে যাবে সব ডোর, কাল তো জীবন অজানা।