কল্পভ্রমণ
আনন্দ গোপাল গরাই
চলো না কল্পনার রকেটে চড়ে
ছুঁয়ে আসি দূর আকাশের ওই নীল তারা টাকে
মঙ্গলের মাটি ছুঁয়ে চাঁদের পাহাড়ে বসে
কাটিয়ে আসি কিছুটা সময়
তুমি আমি দুইজনে। সাগরের অতল হ'তে
ডুবুরির মতো ডুবে ডুবে
তুলে আনি মহার্ঘ রতন আর অচেনা উদ্ভিদ।
দেখে আসি প্রাণভরে জীবেদের খেলা
গভীর জলের তলে।
জলপরীদের দেখা হয়তো বা পেয়ে যাব সেথা।
চলো যাই আফ্রিকার দুর্ভেদ্য জঙ্গলে
দেখে আসি পশুপাখি হিংস্র জানোয়ার,
মানুষখেকো গাছেদের মানুষ খাবার খেলা।
চলো যাই বরফের বুকে পথ করে করে
কাঞ্চনজঙ্ঘার উত্তুঙ্গ চূড়ায়
যেথা মেঘ এসে কোলাকুলি করে
সকাল সন্ধ্যায় অনন্ত আবেগে--
গোধূলির রক্তরাগ লাগে এসে গায়।
চলো না উটের মতো পা ফেলে ফেলে
দেখে আসি সাহারার তপ্ত বালুরাশি
হয়তো বা পেয়ে যাব মরূদ্যান সেথা
ভরে যাবে প্রাণমন দাবদাহ মাঝে।
সবুজের স্পর্শ পেয়ে
দুজনে মিলাবে হাত দুজনের হাতে।
দুজনের চাওয়া পাওয়া
ভালোলাগা ভালোবাসা
রামধনুর সাত রঙ হয়ে
জেগে রবে চিরকাল হৃদয় আকাশে!