শুভ নববর্ষ । আরেকটি নতুন বছর হাজির হলো যখন ভারতবর্ষের সরকার প্রতিষ্ঠার নির্বাচন চলছে।সেইসঙ্গে চলছে গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহ। প্রকৃতি ও নির্বাচনের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মুখে চোরধরা ও পাওয়া-না পাওয়ার গল্পে সাধারণ মানুষ প্রায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। অথচ যার ঘরে চুরি হচ্ছে সেই সাধারণ মানুষ আবেদন নিবেদন জানাচ্ছেন অথবা নিরুপায় হয়ে অপেক্ষায় বসে আছেন পাঁচ বছর পর পর আঙুলে কালি লাগানোর জন্য। এরই মাঝে প্রকৃতির উত্তাপ ৫০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। এত বড়ো ভোটবাজারে কোনো দলেরই নির্বাচনী ইশতেহারে 'তেমনভাবে' শোনা গেল না পরিবেশ রক্ষার কথা। বৃক্ষরোপণের রেসের মাঠে নামার সাহস খুব একটা চোখেই পড়ল না! নদী-জলাভূমি সংস্কার, জল দূষণ, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণগুলি একপ্রকার 'শিশুপাঠ্য কাহিনীতে থাকে মুখ ঢাকি'-র মতো অবস্থা। তবে অবস্থা যাই হোক, জনতাই জনার্দন।
শিল্প সংস্কৃতির পরিমণ্ডলের দিকে যদি চোখ রাখি দেখতে পাবেন নগর-মহানগর ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক স্থানে বৃহত্তর অংশ জুড়েও উপযুক্ত সাংস্কৃতিক মঞ্চ, অডিটোরিয়াম একেবারেই নেই। যার ফলে সাংস্কৃতিক চর্চা সেখানে এক প্রকার দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে অথবা বন্ধ হয়ে গেছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের আর্থিক বাজেটে এই বিষয়গুলির ওপর আরেকটু নজর রাখা যেতেই পারে।এছাড়া 'সবকিছুর সাথে সাথে' থিয়েটার গোষ্ঠী-কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীগুলিকে অর্থ সাহায্যের প্রক্রিয়া যদি সচল ও সরলীকরণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে তাহলে আপনার আমার পাড়ার রবীন্দ্র-নজরুল-নববর্ষের অনুষ্ঠানগুলি বেঁচে থাকে আর কি! কেন্দ্র ও রাজ্যের মাননীয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে একটি খোলা আবদার রেখে দিলাম।
'গান্ধার পত্রিকা বৈশাখী সংখ্যা ১৪৩১'-এ যাঁরা লেখা পাঠিয়েছেন তাঁদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
--অভিজিৎ কুমার দাস
শান্তিপুর, নদীয়া, পঃবঃ