যে অন্ধকারের দিশারী, সেই নীলকণ্ঠ।
মিঠুন কুমার রাউত
এক আকাশ অন্ধকারের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছি, চুপচাপ,
ভাবছি আর ভাবছি, এই সামাজিক অবক্ষয়ের শেষ কোথায়?
দৃপ্ত ভঙ্গিমায়, স্নিগ্ধ -শান্ত যে মেয়েটি সেবাব্রতী হতে স্বপ্ন দেখেছিল।
তার সাধনার অকালমৃত্যু হলো, স্বপ্ন তার অধরা রয়ে গেল, হায়!
মফস্বলের সরলমতি যে ছেলেটি ইঞ্জিনিয়ার হতে চেয়েছিল,
এসেছিল ধীরপায়ে, এই আনন্দনগরীর কঠিন রাজপথে,
সে কী জানতো, কিছু রাক্ষস বসে আছে মনুষ্য বেশে ক্যাম্পাস জুড়ে,
ভদ্রলোকের ছেলেদের অসভ্যতা কি চাপে ভাতৃত্বের মিথ্যে শপথে!
একদিন কাকভোরে, ছেলেটি পাঁচতলা হোস্টেলের ছাদথেকে ঝাঁপায়,
ছিন্নভিন্ন দেহে পড়ে থাকে বাবার স্বপ্ন, মায়ের আদর, স্নেহাশিস!
তারপর লোকদেখানো কমিটি দিবারাত্রি ব্যস্ত তদন্ত করায়।
এভাবেই অকালে ঝরে যায় বহু প্রাণ, তারপর তরুনের জাগ্রত বিবেক,
শীতঘুম থেকে ওঠে, পথে প্রান্তরে শুরু হয় অনন্ত প্রতিবাদ, প্রতিরোধ।
নাগরিক সমাজেরও ভাবা উচিত নয় কি, এই অবক্ষয় তারই কৃতকর্ম?
মেনে নিলে তবেই হবে আত্মশুদ্ধি, নীলকণ্ঠের বিষ ধারণেই হবে শোধবোধ।