চিত্রগুপ্তের পৃথিবী ভ্রমণ

 অদিতি ঘটক

 

 

 

চরিত্র--চিত্রগুপ্ত, নারদ, যমরাজ

 

স্থান--পৃথিবীর কোনো এক পার্ক।


 

চিত্রগুপ্ত: ও নারদ, এ কোথায় এলাম গো, কি সুন্দর জায়গা। এ যে, যেদিকে তাকাই রঙের বন্যা। আহাহা, গন্ধও কি সুন্দর। ওহ ! এখানে এসে যে, কি আনন্দ হচ্ছে না, তোমায় বলে বোঝাতে পারবো না। চারিদিকে কত রূপ, বর্ণ, গন্ধ। যমালয়ের মত ম্যাড়মেড়ে নয়। এটা আমাদের চোদ্দ লোকের মধ্যে পড়ে?

 

 নারদ: পড়ে পড়ে। এটা ভূলোক মানে পৃথিবী। 

 

চিত্রগুপ্ত: বল কি ! আমরা এখন পৃথিবীতে ! আর পৃথিবী এত সুন্দর ! আর এ কি অদ্ভুত পোশাক আমরা পরেছি ! যদিও বেশ হালকা আর ফুরফুরে লাগছে।

 


 

নারদ: ভালো লাগছে তো। দেখুন কেমন বুদ্ধি খাটিয়ে নিয়ে এলাম।  আপনার একটা ডামি রোবট বসিয়ে আপনাকে উঠিয়ে নিয়ে এলাম। সব কাজ একদম মেপেজুপে ঠিকঠাক। যাকে পৃথিবীর ভাষায় বলে ‘খাপে খাপ’। যা পরেছেন তাকে বলে বারমুডা আর স্যান্ডো গেঞ্জি। এখন এসবেরই চল।

 


চিত্রগুপ্ত: ও ভাই, তুমি তো সর্বত্র গমন কর। তুমি সর্বজ্ঞও বটে। তা পৃথিবীতে এসে তুমি তো পৃথিবীর ভাষা বলছো। আমায় একটু শিখিও না।

 

 নারদ: এনে যখন ফেলেছি তখন টেনশন নট। সব আমার দায়িত্ব, বস।


 

  চিত্রগুপ্ত:  (বিগলিত হয়ে) তোমার এলেম আছে ভাই। মানতে হবে। আমার গোটা জীবন তো পাপ, পুণ্যের হিসেব রাখতে রাখতেই চলে গেল অথচ যাদের হিসেব রাখছি তাদের আবাস স্থল সম্মন্ধেই কোনো ধারণা নেই। কেমন বিড়ম্বনা বল। নেহাত মৃত মানুষগুলো ভয়ে ভয়ে থাকে তাই কিছু জিগ্গেস করতে সাহস পায়না। আমার তো আর দিব্যদৃষ্টি নেই যে ওখানে বসে বসেই সব দেখতে পাবো।

 

নারদ: দিব্যদৃষ্টি থাকা সত্বেও দেবতারা ফি বছর আসেন। 

 

 

 

 চিত্রগুপ্ত: (বিমর্ষ হয়ে) ঠিকই বলেছ। দেবতা ছাড়াও অন্যান্য দেবলোকবাসীরা অভিশাপ,

 

টভিশাপ পেয়ে তাও মর্ত্য ভ্রমন করে গেছে। (কাঁদো, কাঁদো হয়ে) একবার আমার কথাটা ভাবো ! জন্ম ইস্তক সেই যে এক জায়গায় গেঁড়ে বসলাম ব্যাস ! নট নড়ন চড়ন। এক্কেবারে খোদাই করা পাথরের মূর্তি যেন। ভাগ্যিস তোমার ঢেকিটা ছিল ! একচারে উঠিয়ে দিলে নাহলে বসে বসে আমার শেকড় গজিয়ে সাত, সাত চোদ্দ লোকেই বিস্তার লাভ করছিল। শুনেছি নন্দন কাননের বৃক্ষ নাকি এখন আর সুগন্ধি পুষ্প ফোটাতে সক্ষম হচ্ছিল না, আমার শেকড় কাননে চারিয়ে যাওয়ার জন্য। পাতালেও শাস্তি দানে সমস্যা হচ্ছিল। সমস্ত কূপ, কুন্ড আর নদীতে শেকড় ছড়িয়ে পড়ার জন্য। এত অসুবিধা সত্বেও যমরাজ কোনো ব্যবস্থা করছেন না। এটা কি ঠিক বল? এমনকি একজন সহকারীও দেন না। ঘাড় গুঁজে সব কাজ সেই জন্ম থেকে একা একা করে যাচ্ছি। বয়স বাড়ছে আর পারি বল ! আচ্ছা, আমার শেকড়ের  জন্য পৃথিবীতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না ?

 


নারদ: (মনে মনে) উঁহু, বাবা সব জায়গায় কাঠি করার জন্যই আমার নাম। যমালয়টাই শুধু বাদ ছিল। পৃথিবীর ভাষায় বলে, একটু চুলকে দিয়ে ঘেঁটে ঘ না করলে মনে শান্তি আসছিল না। এবার লাগবে খেল। (মুখে) সময় একটু গড়াতে দিন।  আপসে আপ বুঝে যাবেন।

 

 

 

চিত্রগুপ্ত: (কাশতে,কাশতে) হঠাৎ এত ধোঁয়া কোথা থেকে এল বলতো ? নরকে কিঙ্কররা কি কোনো কুণ্ডের আগুন নিভিয়ে দিল ? 


নারদ: চিল ম্যান, আপনি এখন পৃথিবীতে। যমপুরীর কথা বেমালুম ভুলে যান। চলুন সকালবেলা হারুদার চা খাই। উনুনে আগুন পরে গেছে।


 

চিত্রগুপ্ত:  এই উঁচু, উঁচু চৌকো মত বস্তুগুলো কি ভাই, সব তো আবার চৌকোও নয়। বিচিত্র গড়ন সব। যেন উর্বশীর এক একটি দেহ ভঙ্গিমা। ঘাড় উঁচু করে দেখতে গিয়ে আমি আর একটু হলেই উল্টে যাচ্ছিলাম।

 

 

 

নারদ: খবরদার, এই সামান্যতে উল্টাবেন না। ওগুলো সব আধুনিক বাড়ি। ফ্ল্যাট বা এপার্টমেন্ট হাউস বলে। 

 

চিত্রগুপ্ত:  (হাঁটতে, হাঁটতে) ও ভাই, এত বড় বড় মহল থাকতে লোকগুলো রাস্তার ধারে শুয়ে কেন ? এরা কি শাস্তি পেয়েছে ? এরা কি মৃত ? আমি তো এদের বিচার করিনি !

 

 

 

 

নারদ: ওরা ফুটপাতবাসী। রাস্তার ধারে ফুটপাতেই ওদের জন্ম, কর্ম, মৃত্যু। ওদের জীবন এভাবেই কাটে।

 

চিত্রগুপ্ত: তাই ! এভাবে এত কষ্টে মানুষ থাকে ! 

 

নারদ: সব মানুষ নয়। কিছু, কিছু মানুষ। বেশ খানিকটা অভাবে আর কিছুটা স্বভাবে। ঘর বাড়ি করে দিলেও কিছু জন ফুটপাতেই থাকবে। বললেও সেই বাড়িতে যাবে না। এ সব অনেক ঘাপলা কেস। চলুন চায়ের দোকান এসে গেছে। কাঠের বেঞ্চে আরাম করে বসুন। ও ভাই, দুটো তন্দুরি চা দাও তো।-- ফুঁ দিয়ে খাবেন।


 চিত্রগুপ্ত: একি জিনিস ভাই ! স্বাদে যে অমৃত। বেশ চাঙ্গা লাগছে। মর্ত্যে  অমৃত পাওয়া যায় শুনিনি তো  !

 

নারদ:  চিতুদা, এটুকতেই চোখ কপালে তুলছেন। আগে, আগে দেখিয়ে হোতা হ্যায় কেয়া। প্রথমবার তো। সব কিছুতেই তাই চোখ কপালে উঠছে। নো টেনশন। অভ্যেস হয়ে যাবে।

 

চিত্রগুপ্ত: এবার আমরা কোথায় যাবো ? 

 

 নারদ: ময়দান।

 

চিত্রগুপ্ত: ময়দানব এখানেও কোনো স্থাপত্য

 

নির্মাণ করেছে নাকি ? শুনিনি তো। চলো দেখি। সে নিশ্চয় কোনো অত্যাশ্চর্য বস্তু হবে।

 

 নারদ: না এটা একটা বিরাট মাঠ। এটার নাম ময়দান। ময় দানব পৃথিবীর বুকে ইন্দ্রপুরী বানিয়েছিল যার ধুলোটুকুও পাওয়া যায় না।


চিত্রগুপ্ত: ওখানে কি করবো ?


নারদ; উহু, বাওবা,ওখানেই তো মজা। ওখানে গিয়ে হাত, পা ছড়িয়ে ঘাসের উপর শুয়ে থাকবো।

 

চিত্রগুপ্ত: শুয়ে থাকবো ? ঘুরে ঘুরে কিছু দেখবো না ?

 

নারদ: শুয়ে শুয়েই দেখবো।

 

চিত্রগুপ্ত: বেশ ভালো লাগছে জানো। এই নরম ঘাসের উপর শুয়ে মনে হচ্ছে  নিজ পত্নী কৃত্বি বা সুদর্শনার অঙ্কে শুয়ে আছি। এই নারীরা তো  অপ্সরাদের থেকে কম কিছু নন। কি সুন্দর এদের দেহ সৌষ্ঠব। সব শরীর চর্চায় রত। এদের সারমেয়গুলিও দেখতে অতি সুন্দর। একটু স্নেহ প্রর্দশন করে আসবো ? 


 নারদ: নাহ, শুধু চোখ দিয়ে দেখুন। কি করতে কি করে বসবেন। তারপর  থানা, পুলিশ  কোর্ট,

 

কাছাড়ি, মামলা, মোকদ্দমার একশেষ।

 

চিত্রগুপ্ত: নারদ,  ও নারদ, ঘুমিয়ে পড়লে নাকি ?


নারদ:(ঘুম জড়ানো গলায়) নাহ, বলুন

 

 এখুনি একটা অন্যায় হল জানো। সেই ত্বন্নী তরুণীটি সারমেয়কে একটি খাদ্য দিল কিন্তু ওই ছোট শিশুটিকে কিচ্ছু দিল না। তাড়িয়ে দিল। শিশু অভুক্ত থাকলো। দুজনেই জীব। তাদের কি অনাদর হওয়া উচিত। চলো যাই। যুবতী নারীকে বলে আসি এজন্য ওকে নরকে দন্ড পেতে হবে। ভবিষ্যতে যেন এই কাজ আর না করে নাহলে দণ্ডের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।

 

 নারদ: (একটু বেজার ভাবে) আপনি মৃত্যুর পর বিচার করেন। আগে নয়। মানুষ পাপ, পুণ্য দুইই করে। শুয়ে থাকুন। শুয়ে শুয়ে দেখুন।

 

 চিত্রগুপ্ত: ও নারদ, দুজনে উত্তেজিত হয়ে বার্তালাপ করছে। কত অপশব্দ  ব্যাবহার করছে। কিছু একটা.. ওই দেখ আরো কতজন জড়ো হয়ে গেল। এ যে বৃহৎ আকার ধারন করল। ওদের বাধা প্রদান করলে হয় না। ওরা যে নরকে অনেকগুলো সাজার  অধিকারী হচ্ছে। ওই দেখ নাক, মুখ দিয়ে রুধীর নির্গত হচ্ছে। 

 

 নারদ: ( শরীরটা একটু তোলার আওয়াজ) ওহ, ওরা ফুটবল খেলছে।

 

 চিত্ৰগুপ্ত: হাঁ, খেলা ! এই ভাবে রুধীর নির্গত করে !

 

 নারদ:  তবু তো আপনি কুস্তি, কি বক্সিং দেখেননি। সেখানে তো রীতিমতো মারপিট চলে। ক্রিকেট তুলনামূলক ভালো খেলা। কিন্তু টিকিটের জন্য দর্শকরা মারপিট করে।

 

নিন, নিন জিরিয়ে নিন।

 

যমালয়। যমরাজের দরবার। 

 

যমরাজ: একি চিত্রগুপ্ত ! তুমি তো পাপ,পুণ্যের

 

সঠিক বিচার করছো না। মিথ্যে বলার মতো লঘুপাপে গুরুদন্ড আর হত্যার মত গুরুপাপে লঘুদন্ড দিচ্ছ। তুমি কি তোমার খাতায় এই সকল প্রেতাত্মার জীবদ্দশার কর্মকান্ড লিপিবদ্ধ করোনি। দেখে ঠিক করে কর্ম কর আর  যান্ত্রিক আওয়াজে কথা বলো না। তোমার নিজস্ব স্বরে বল। চিত্রগুপ্তের হল কি?(স্বগোতোক্তি) 

 

চিত্রগুপ্ত ধড়মড় করে উঠে বসলেন। চারিদিক তাকিয়ে বুঝতে পারলেন স্বপ্ন দেখছিলেন। নিজের মনেই হেসে উঠলেন।

 

 নারদ: কি হল? ওই ভাবে চিৎকার করলেন কেন ?


 

চিত্রগুপ্ত:এই হল দাসত্বের পরিণাম। সর্বদা শঙ্কা। স্বপ্ন দেখছিলাম। যমরাজ ওই যন্ত্রটাকে আমি ভেবে তিরস্কার করছেন।

 

 নারদ: ওই দেখুন দুই স্বল্প বয়সী যুগল মূর্তি। ওরা নিজেদের মধ্যেই  বিভোর। চারিপাশে নানা ঘটন, অঘটন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। এদের প্রীতি দেখে মনটা বেশ উৎফুল্ল হল। পৃথিবীর বুকে প্রেম এক অপরূপ সৃষ্টি। আরও একটি যুগলের কান্ড দেখুন। 

 

  চিত্রগুপ্ত:  আরে এরা এরকম করছে কেন ? 


নারদ:  ওরা যুগল বটে তবে প্রেমিক  প্রেমিকা

 

নয়। ওই দেখুন ওদের মধ্যে টাকা পয়সা নিয়ে গোলমাল বেঁধেছে।

 

ওরা টাকা দিয়ে সুখ কেনে।



চিত্রগুপ্ত: রাস্তা দিয়ে অত লোক যাচ্ছে কোথায় ভাই? হাতে ডান্ডার ওপরে কি সব লেখা। সামনে একটা বড় কাপড়েও কি সব লেখা আছে। খুব রেগে আছে মনে হচ্ছে। ওদের পাশেপাশে কতজন একগাদা যন্ত্রপাতি নিয়ে দৌড়চ্ছে। কি হচ্ছে ভাই? আমরা নিরাপদ তো?

 

 

 

নারদ: (মাথা তুলে দেখে) ওহ, মিছিল। এটা রাজনৈতিক। এ ছাড়া বুদ্ধিজীবী মিছিল, কর্মী মিছিল, নাগরিক মিছিল নানা ধরনের মিছিল হয়। নানাধরনের দাবিদাওয়া নিয়ে স্লোগান দেয়। পাশে পাশে প্রেস, মিডিয়া। টিভিতে

 

দেখানো হবে। কোটি কোটি লোক দেখবে। তাই ক্যামেরা ম্যান, বুম হাতে রিপোর্টার  সবাই ছুটছে। আসলে একটা চ্যানেল নয় তো। হাজার হাজার।

 

 

 

 চিত্রগুপ্ত:- ও, নারদ নিদ্রা গেলে নাকি, এত গাড়ি, ঘোড়া, এত কোলাহলে নিদ্রা গেলে নাকি। আমার যে উদরে ক্ষুধার উদ্রেক হচ্ছে। পৃথিবীতে এসে ক্ষুধাভাব বৃদ্ধি পেল নাকি !

 

 নারদ:- (কোনো রকমে চোখটা একটু খুলে, মাথাটা সামান্য তুলে)ওই তো ঝালমুড়িওয়ালা। (নারদ হাতের ইশারায় ডাকেন।)

 

    (ঝালমুড়িওয়ালা এগিয়ে আসতে আসতে চিত্রগুপ্তের চোখ রাস্তার দিকে। একটি ট্রাফিক পুলিশ দ্রুত গতিতে আসা সিগন্যাল ব্রেক করে ফুটপাতে ধাক্কা মারা একটি গাড়িকে কিছু টাকার বিনিময়ে যখন ছেড়ে দিচ্ছে--)

 

 

চিত্রগুপ্ত: - দেখো নারদ, আইনের রক্ষকই কেমন উৎকোচ গ্রহন করে আইন ভঙ্গে উৎসাহ দিচ্ছে।  এরা কি বুঝতে পারছেনা, এদের সমস্ত কর্ম লিপিবদ্ধ হচ্ছে। মৃত্যুর পর কত ধরনের শাস্তির দন্ড বলবৎ হচ্ছে। ওরা স্বপ্নেও ভাবতে পারছে না। যেমন ধরো, নিজধর্ম পালন না...

 

নারদ হাতের হালফ্যাশনের স্মার্ট ওয়াচ দেখে চঞ্চল হয়ে

 

নারদ:- শাস্তি যমলোকে গিয়ে লিখবেন। রোবটের ব্যাটারি ফুরলো বলে। আগেরবার এসে নিয়ে যাওয়া ব্যাটারির চার্জ আর কত থাকবে। ভ্যালিডিটিও ভোগে গেছে।

 


(যমরাজের বিচার সভায়)

 


যমরাজ:- চিত্রগুপ্ত, এই প্রেতাত্মার বিচার সঠিক ভাবে করার জন্য তোমার খাতার খতিয়ান বলো। একি, তোমার আওয়াজ কানে এত কর্কশ শোনাচ্ছে কেন? এত বিচিত্র আওয়াজ মুখ দিয়ে বার করছো কেনো ! কি তীক্ষ্ণ আর কর্কশ। কর্ণকুহরে বেদনা অনুভূত হচ্ছে l তোমার প্রকৃত স্বরে কথা বলো। আরে,চুপ করে গেলে কেন।(একটু চুপ থেকে আদেশের সুরে ) চিত্রগুপ্ত বলো। হাতে খাতা নিয়ে বসে থেকো না। (কিছুটা অধৈর্য হয়ে) বিচারে অহেতুক বিলম্ব ঘটছে। আজ তোমার হয়ছেটা কি ? সময় বয়ে যাচ্ছে যে।

 

  (পৃথিবী, ময়দান)

 

চিত্রগুপ্ত:- ও নারদ, কিছুই তো দেখা হল না। এর মধ্যে চলে যাবো! এতো সুন্দর জায়গা ছেড়ে ! মন চাইছে না যে। (করুণ  চোখে চেয়ে)  অন্তত ঝালমুড়িটা...  

 

 

 সেই সময়ই নারদ হেচকা টানে চিত্রগুপ্তকে ঢেঁকিতে উঠিয়ে যমালয়ের উদ্দেশ্য পড়িমরি করে পাড়ি জমান।

 

(চিত্রগুপ্তকে পিঠ চাপড়ে প্রবোধ দিয়ে) নারদ:- "নেক্সট টাইম ডুড.."